সর্বশেষ

Thursday, February 22, 2024

বেকিং কোলাবোরেশনে একুশে পদকজয়ী জিয়াউল হককে ক্যাবের ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা

বেকিং কোলাবোরেশনে একুশে পদকজয়ী জিয়াউল হককে ক্যাবের ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা

 




বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং একুশে পদকজয়ী জিয়াউল হককে শ্রদ্ধা জানাতে ক্যাব আয়োজন করে বেকিং কোলাবোরেশনের। এর মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের মাঝে কেক বিতরণ করা হয়।



২২ ফেব্রুয়ারি,২০২৪ তারিখে বিকাল ৪ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের পিটিআই বস্তিতে অর্ধশত সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চার মাঝে কেক বিতরণ করা হয়। কেকটি শহীদ মিনারের বিশেষ থিমে বানানো হয় যার শতভাগ ছিল ভক্ষণযোগ্য। কেকের ব্যক্তিক্রমী এই এই ডিজাইন ছিল বাচ্চাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বেকিং কোলাবোরেশনে অংশ নেন ক্যাবের ৫ উদ্যোক্তা- মারুফা ইয়াসমিন, প্রজ্ঞা লিজা, জোহায়রা রাইসা , সুপ্তি এবং আবিদা রেজা। এর আগে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেকারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্যাব আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।



জিয়াউল হক সারা জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। দই বিক্রির অর্থ দিয়ে পাঠাগার স্থাপন করেছেন। বাচ্চাদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে একুশে পদক গ্রহণ করেন। তার এই অর্জন চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীকে বিরল সম্মান এনে দিয়েছে। তাই তাকে সম্মান জানাতে ক্যাবের এই আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে তারই জীবন দর্শন অনুসরণ করে কিছু সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের মাঝে কেক বিতরণ করা হয়। তাদের বিনোদনের জন্য তাদের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করা হয়।  এসময় ক্যাবের অন্যান্য সদস্য ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।




পিটিআই বস্তিতে অবস্থিত সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চারা এর মাধ্যমে চাঁপাইবাবগঞ্জের একজন আলোকিত ও সাদা মনের মানুষ সম্পর্কে জানলো। এই বাচ্চাদের অক্ষরজ্ঞান দিচ্ছেন এমন এক শিক্ষিকা কস্তুরি জানান," এই ধরনের আয়োজনে বাচ্চারা শুধু খাওয়ার আনন্দই পেল না, বাচ্চারা নিজেদের জেলার আলোকিত মানুষ সম্পর্কে জানলো।" এই কোলাবোরেশনের কো-অর্ডিনেটর প্রজ্ঞা লিজা বলেন," জীবদ্দশায় ভালো মানুষকে আমরা সম্মান জানাতে কার্পণ্য করি। এই সংস্কৃতি ভাঙতেই ক্যাবের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।"


Sunday, February 18, 2024

ক্যাব উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান করলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ

ক্যাব উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান করলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ

 


নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাযহারুল ইসলাম তরু ক্যাব সেরা উদ্যোক্তা এবং রাইটিং কোর্স সম্পন্নকারীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি,২০২৪) দুপুরে শহরের সুইট এন্ড স্পাইসি ক্যাফেতে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন তিনি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ আলম এবং ওবায়দুল।

২০২৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেরা উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন চাঁপাই রকমারী পণ্যের স্বত্ত্বাধিকারী মোসাঃ আঞ্জুয়ারা খাতুন। এর আগে ক্যাব ফেসবুক গ্রুপে সেরা উদ্যোক্তা এওয়ার্ড এর জন্য উপযুক্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে এই বছরের শুরুতে নির্বাচিত উদ্যোক্তার নাম ঘোষণা করা হয়। আঞ্জুয়ারা খাতুন শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়ন থেকে ঐতিহ্যবাহী দড়ির খাটলা নিয়ে কাজ করছেন। নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছেন স্বমহিমায়। এখন নিজে স্বাবলম্বী হয়ে নিজস্ব কারখানার মাধ্যমে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন। তার তৈরি পণ্য এখন এফ কমার্সের মাধ্যমে সারাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে এবং সমাদৃত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ক্যাব কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স সফলভাবে সম্পন্নকারী সারমিন আফরোজ, আয়েশা সিদ্দীকা মৌসুমী ও মাহবুবা খাতুন মৌসুমীকেও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষায় নেটওয়ার্কিং ও লার্নিং গ্রুপ ক্যাবের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন ড. মাযহারুল ইসলাম তরু। এর আগে অধ্যক্ষকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। সবশেষে ক্যাবের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিশেষ লাঞ্চ পার্টিতে সকলে অংশগ্রহণ করেন।

ক্যাব এওয়ার্ড ফাংশনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করছে ওয়েডিং ইমেজ বাই সম্রাট। এই অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী সুইট এন্ড স্পাইসি ক্যাফের স্বত্তাধিকারী প্রজ্ঞা লিজা জানান, "এই ধরনের এওয়ার্ড ফাংশন একদিকে যেমন উদ্যোক্তাদের কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে, তেমনি অন্য উদ্যোক্তাদের মাঝেও অনুপ্রেরণা ছড়াচ্ছে বলে বিশ্বাস করি।"


Wednesday, December 20, 2023

চড়ুইভাতিতে গিফট ও ফটোগ্রাফি স্পন্সর পেল ক্যাব

চড়ুইভাতিতে গিফট ও ফটোগ্রাফি স্পন্সর পেল ক্যাব

 



২০২৩ সালের একদম শেষ প্রান্তে এসে ব্যবসায়ীরা যখন ব্যবস্তায় ক্লান্ত, তখন ক্যাবের এই চড়ুইভাতির উদ্যোগ। একদিনের জন্য ব্যবসা বন্ধ রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের এক আম্র কাননে অনুষ্ঠিত হবে ক্যাবের চড়ুইভাতি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কালাই রুটি, আন্ধাসা, দুপুরে ডাল ভাতের পাশাপাশি থাকছে বিনোদনের সকল আয়োজন। মূলত ক্যাব গ্রুপের নিয়মিত সদস্যরাই এতে অংশ নিচ্ছে।

চড়ুইভাতির একটি অংশ হচ্ছে ফান গেম যার বিভিন্ন পুরস্কার স্পন্সর করেছে ক্যাবের সদস্যগণ। এর মধ্যে ১২ টি গিফট স্পন্সর হয়েছেন ক্যাবেরই ১২ জন প্রতিশ্রুতিশীল উদ্যোক্তা।  স্পন্সর হলেন যে ১২ উদ্যোক্তা-

👉নাম :Abida Reza
পেজ : কিচেনেট

👉রুজানা খানম ইম
পেজ: Cake Tune

👉Momin Mohammad
পেজ: চা বাড়ি- Tea House

👉মো:জহির দেলোয়ার আবেদীন
পেজ: Abedin Architects & Engineers

👉Mst:Anzuara Khatun
পেজ: চাঁপাই এর রকমারি পন্য

👉Nur Nahar Joly
পেজ: জলি অর্গানিক হেয়ার অয়েল - Joly Organic Hair Oil

👉ইয়াসমিন আরা লতা
পেজ :Yeasmin creation's

👉Md :Shahariar Raihan
পেজ- Pure's Sign

👉Shakawat Hossin
পেজ: চাঁপাই গ্রোসারি

👉Habiba Rahman
.পেজ:Habiba's Collection

👉Mst :Fahmida Ferdows Nitu
পেজ:Tasan's paint gallery

👉Md Rezwanul Kader
পেজ: Sawboon boutique house

এছাড়াও ক্যাব চড়ুইভাতির ফটোগ্রাফি পার্টনার হয়েছে ইমোশন জিতের ইমোশন ওয়েডিং জোন। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ক্যাবারদের প্রথম এই ভিন্নধর্মী আয়োজনের স্মৃতি ধরে রাখবে। এছাড়া ফটো বুথেরও ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।
ফাহমিদা ফেরদৌস নিতু পুরো প্রোগ্রামটি শুরু থেকে সমন্বয় করে আসছেন এবং আয়োজনটি সবাই উপভোগ করবেন বলে আশাবাদী। একই সাথে তিনি স্পন্সর করার জন্য সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Saturday, December 9, 2023

 ক্যাবের আয়োজনে শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের আড্ডা

ক্যাবের আয়োজনে শিবগঞ্জের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের আড্ডা


সব সংশয় ঝেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাগণ মিলিত হলেন ক্যাব আড্ডায়। উপজেলা পর্যায়ে ক্যাবের আয়োজন এই প্রথম। শীতের হিমেল হাওয়ায় চা এর ধোঁয়া ওঠা উষ্ণতায় অংশগ্রহণকারীরা আড্ডায় মেতে উঠেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে।


৮ ডিসেম্বর,২০২৩ তারিখে শিবগঞ্জের আকাশে নিম্নচাপের মেঘ সরে রোদ উঁকি দিয়েছিল। তখনই সব অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসোসিয়েশন অব বিজনেস (ক্যাব) এর ফেসবুক গ্রুপে প্রচারণা চলছিল। অবশেষে ২৩ জন উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী উপস্থিত হন। দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরিচয় পর্ব দিয়ে শুরু হওয়া এই আড্ডার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ব্যবসা। ব্যবসাসংক্রান্ত আলোচনা জমে যায় চা চক্রের মাধ্যমে। ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে এই আড্ডা যখন ভাঙে তখন শিবগঞ্জের আকাশে গোধূলীর আভা। আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন গোলাপী, শাহরিয়ার, জান্নাত, খাতিজা, মিশকাত, আফরোজা, সাহিদা, মাহমুদা, দেলোয়ার, মিতালি, মনিরা, পুতুল, মাশরাফি, রুহুল, মেঘা, জেসি জান্নাত, পারভিন, মিমি, আতিকা , ঊর্মি, শামসুন্নাহার, সুমাইয়া ও মুনিরা।  এছাড়া আড্ডায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উদ্যোক্তা নিতু। 

শিবগঞ্জ উপজেলার ক্যাব আড্ডার অর্গানাইজার আঞ্জুয়ারা খাতুন জানান, " এই ধরনের আড্ডা নতুনদের জন্য শিক্ষনীয়। শিবগঞ্জে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ হলেও তা নিয়মিত করার চেষ্টা করা হবে।"  

Monday, December 4, 2023

ফিতা ক্যাসেট যেভাবে  হারিয়ে গেল ||  কেস স্টাডি

ফিতা ক্যাসেট যেভাবে হারিয়ে গেল || কেস স্টাডি

 



ছবির জিনিসটা কি চিনতে পারছেন? যাদের জন্ম ২০০০ সালের পরে তাদের হয়তো চিনতে একটু অসুবিধা হবার কথা। তবে তার আগের মানুষদের জন্য এটা নস্টালজিয়া! স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে আশি ও নব্বইয়ের দশককে বলা যেতে পারে ক্যাসেট যুগ! অনেকটা দেশীয় শিল্পীদের হাত ধরে ক্যাসেটের প্রচলন শুরু হয়। ১৯৮০ সালের শুরুতে গানের অ্যালবাম ক্যাসেট আকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ক্যাসেট অ্যালবামের গায়ক ছিল শোয়েব। ১৯৮২ সালে সোলস ব্যান্ড হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম ‘সুপার সোলস’ প্রকাশ করে। একই বছর ব্যান্ড মাইলস তাদের প্রথম এলব্যাম ‘মাইলস’ নামে প্রকাশ করে, যার গানগুলো ছিল ইংরেজি।


প্রথমদিকে আর্টিস্ট, ব্যান্ড নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে গান রেকর্ড করে ক্যাসেট তৈরি, বিক্রির উদ্যোগ নেয়। ধীরে ধীরে এটি ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ লাভ করা শুরু করে। এর মধ্যে নব্বইয়ের দশককে অডিও ক্যাসেটের স্বর্ণযুগ বললে ভুল বলা হবে না। বিভিন্ন উৎসব বিশেষ করে ঈদের আগে সবাই ক্যাসেট রিলিজ করার চেষ্টা করতো। আর মানুষ অপেক্ষায় থাকতো তার প্রিয় শিল্পীর ক্যাসেট কেনার জন্য। অঞ্চলভেদে একাধিক দোকান থাকতো। কেউ ঢাকা থেকে ক্যাসেট এনে জেলা শহরে পাইকারি সেল করতো, সেখান থেকে খুচরা দোকানে সেল হতো ২৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। ক্যাসেটের দোকানে সারাদিন গান বাজতো, মানুষ গান শুনে সেই ক্যাসেটের প্রতি আগ্রহী হতো। এই গান বাজানো ছিল এক ধরনের বিজ্ঞাপন। মানুষের সাথে গানটি পরিচিত করিয়ে দিয়ে তাকে আগ্রহী করে তোলা। অনেকে পুরো ক্যাসেট কিনতো আবার মানুষ পছন্দ অনুযায়ী ব্ল্যাংক ক্যাসেট কিনে পছন্দের গানের লিস্ট করে রেকর্ড করে নিত দোকান থেকে। আমি নিজেও করেছি। এক রমরমা অবস্থা ছিল। ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনার কিছু অসুবিধাও ছিল! যেমন ক্যাসেটের ফিতা আটকে যাওয়া! খুব সতকর্তার সাথে ক্যাসেটের ফিতা হেড থেকে টেনে বের করতে হতো। একটু এদিক ওদিক হলে ক্যাসেট নষ্ট হয়ে যেতো। আবার পছন্দের গান শোনার জন্য সময় নিয়ে বারবার রিওয়াইন্ড, ফরোয়ার্ড করতে হতো।

গানের প্রচারণার ক্ষেত্রে সরাসরি সম্পর্কিত নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও কিন্তু বেশ বড় ভূমিকা রেখেছিল! আপনারা কি ভাবছেন সেই প্রতিষ্ঠান কোনটি? সেটা হলো পাড়ার সেলুনগুলো! হ্যাঁ সেলুনে সারাদিন গান বাজতো, সেলুনে অপেক্ষারত সেবাগ্রহীতা পেপার পড়ার পাশাপাশি গানও শুনতো এবং সেসব নিয়ে আলোচনাও চলতো। শুধুমাত্র গান শোনার জন্য যে অডিও ক্যাসেট ব্যবহৃত হতো তা না; বরং কৌতুক, কবিতা আবৃত্তি, ওয়াজ মাহফিলের ক্যাসেটও বিক্রি হতো। তাছাড়া সাক্ষাৎকার রেকর্ডও করা হতো ছোট ধরনের অডিও ক্যাসেটে। তারপর সময় বদলে গেল। এরপর আসলো সিডি প্লেয়ারের যুগ। সেটাও ধুমসে বিক্রি হলো, ধীরে ধীরে ক্যাসেটের চাহিদা কমতে থাকার সাথে সাথে ক্যাসেট শোনার যন্ত্র ক্যাসেট প্লেয়ার বা টেপ রেকর্ডারও বাজার থেকে হারিয়ে গেল। আর সিডি প্লেয়ারের সুবিধাও ছিল অনেক। সাইজে ছোট, ক্যাসেটের ১২ টি গানের তুলনায় গানও ধরতো অনেকগুলো। এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বড় ধ্বসের কারণ ছিল অডিও পাইরেসি ও এমপিথ্রি প্লেয়ার! অডিও পাইরেসির জন্য কোম্পানিগুলো আর ক্যাসেট বের করতে আগ্রহী হচ্ছিল না, শিল্পীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আর শেষ পেরেকটি মেরে দিলো এমপিথ্রি প্লেয়ার! ক্যাসেট/সিডির পরিবর্তে গান লোড করার দোকানের সংখ্যা বাড়লো। সাথে তৈরি হলো নতুন ভোক্তা। ২০,৩০,৫০ টাকা দিয়ে অসংখ্য গান লোড করে নেয়া যেত মেমোরি কার্ড নামের ছোট একটা স্টোরেজে। এমপিথ্রি প্লেয়ার মোবাইলে করে ঘুরতে থাকলো শত শত গান। আর এভাবেই গ্রামোফোন এর পরবর্তী প্রজন্ম ক্যাসেট, সিডি এবং তার সাথে অডিও ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা ধ্বংসের দারপ্রান্তে চলে গেল। কিছু লক্ষনীয় বিষয়:  প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে আমাদের খাপ খাওয়ানোর মানসিকতা থাকতে হবে এবং নিজেদের কাজের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে হবে।  বাজার ব্যবস্থা এবং গ্রাহকের অভ্যাস পরিবর্তনের কারণে এক সময়ের রমরমা ব্যবসা বছর কয়েকের ব্যবধানে হারিয়েও যেতে পারে।  আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত নয় কিন্তু আপনার ব্যবসার প্রচারের কাজে লাগবে এমন প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তাদের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। সম্ভব হলে আপনি নিজেই তাদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে যান।  ক্যাসেট, সিডি হারিয়ে গেলেও গান শোনা কিন্তু বন্ধ হয়নি। ধীরে হলেও এখন বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন জিপি মিউজিক, গান অ্যাপ, স্পটিফাইয়ের, ইউটিউবের মতো সার্ভিস ব্যবহার করে মানুষ গান শুনছে। প্রায় সবগুলোই পেইড প্ল্যাটফর্ম এবং পেমেন্ট দেয়ার পদ্ধতিগত জটিলতায় মানুষ খুব একটা আগ্রহী হয়ে উঠে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো শ্রোতাদের ফ্রি-তে গান শোনার মানসিকতার কারণে এই প্ল্যাটফর্মগুলোও সফলতার মুখ দেখছে না।

Friday, November 3, 2023

স্মার্টফোন জমা দিয়ে উদ্যোক্তাদের প্রাণবন্ত ক্যাব আড্ডা ।। ক্যাব নিউজ

স্মার্টফোন জমা দিয়ে উদ্যোক্তাদের প্রাণবন্ত ক্যাব আড্ডা ।। ক্যাব নিউজ

 

'স্মার্টফোন এখানে রাখুন ,কিছুক্ষণ আড্ডায় বাঁচুন' এই স্লোগানে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে হয়ে গেল ব্যতিক্রমী ক্যাব আড্ডা। এই ক্যাব আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীগণ।

আড্ডার মাধ্যমে প্রাণখোলা আলাপ আলোচনায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীগণ তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। আড্ডাটি ৩ নভেম্বর,২০২৩ তারিখে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। পরিচিতি পর্ব দিয়ে আড্ডা শুরু হলেও তা এক সময় প্রাণবন্ত রূপ নেয় যখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয় বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমস্যা ও সমাধান। প্রাইসিং, ডেলিভারি সমস্যা, বাজারের ভারসাম্যসহ নানাবিধ বিষয়ে চলে তুমুল আলোচনা।

আড্ডার আয়োজক ছিলেন ক্যাবের পরিচিত মুখ ফাহমিদা ফেরদৌস নীতু। উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের এক্স প্যানেল সদস্য রিজওয়ান, কেয়া, ফারজানা। আরও উপস্থিত ছিলেন এলাইনা পারভীন, মাহবুবা খাতুন, রুজানা খানম, ডুলি আরা, লতিফা , ফাহমিদা, জলি, আরিফা জেবিন, শারমিন আফরোজ, প্রজ্ঞা লিজা, রিমা , লীমা, দেলোয়ার, ইয়ামিন নেশা, দিলনাজ, পারভেজ, লুমা , সাবিনা, মাহফুজ, মনিরুজ্জামানসহ প্রমুখ। আড্ডার আহবায়ক নীতু জানান, " এই ধরনের নো ফোন আড্ডা নতুন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের শেখার জন্য দারুণ একটা উদ্যোগ। তাই প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার এই আড্ডার আয়োজন করার ইচ্ছা আছে নিয়মিত।" সবশেষে আড্ডায় দূর দূরান্ত থেকে আসা সকলকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেন নি এই আড্ডার আহবায়ক।