Monday, May 23, 2022

খিরসাপাত: আমের রাজধানীর জি আই পণ্য

                             


চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাথে জড়িয়ে আছে আম, কাঁসা, পিতল, গম্ভীরার কথা। আজ শুধু আমাদের আম নিয়েই কথা বলা যাক। আম পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ফল। বলা হয় ফলের রাজা আম। আমাদের দেশে আমগাছকে জাতীয় বৃক্ষ ও ভারতে আমকে জাতীয় ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আমের ইতিহাস ও জাত:

তামিল ভাষায় ম্যাংকে এবং চীনা ভাষায় ম্যাংকাও। আম অর্থ সাধারণ। সাধারণের ফল, রসালো বা মধু ফলও বলা হয় আমকে। ধারণা করা হয়, আম প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরের। গবেষকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে আমের প্রায় ১ হাজার ৬৫০টি জাতের একটা তালিকা তৈরি করে ছিলেন বলে জানা যায়। প্রতিটি জাতের আমের চেহারা, রং, রূপ, ঘ্রাণ, স্বাদ, মিষ্টতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য আলাদা। ক্ষীরভোগ, মোহনভোগ, রানিভোগ, রানিপছন্দ, সিন্দুরা,  নাকফজলি, ফজলি, চিনি ফজলি, সুরমা ফজলি, চিনিমিছরি, জগৎমোহিনী, রাখালভোগ,  বোম্বাই, ভুতোবোম্বাই, কাঁচামিঠা, লক্ষ্মণভোগ, কিষাণভোগ, মল্লিকা, বালিশা ইত্যাদি জাতের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে অনেক আধুনিক ও বিদেশি আলফানসো, আম্রপালি ইত্যাদি জাতের আম।

আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে খিরসাপাত, গোপালভোগ, কাঁচামিঠা , ল্যাংরা, ফজলি, আশ্বিনা সহ বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ খিরসাপাত কে বলা হলে ভুল বলা হবে না। খিরসাপাত আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। বর্তমানে দেশের মোট উৎপাদিত আমের শতকরা ২০-২৫ ভাগ আমই খিরসাপাত জাতের। দেশের তৃতীয় পণ্য হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আমজিআই নিবন্ধন পায় (২৭ জানুয়ারি, ২০১৯, বাংলা ট্রিবিউন)। ভৌগলিক নির্দেশক (জি আই) পণ্য হচ্ছে মেধা সম্পদের অন্যতম শাখা। কোন একটি দেশের মাটি, পানি, বায়ু, আবহাওয়া, জলবায়ু, উৎপাদন পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট দেশের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোন একটি অনন্য গুণসম্পন্ন পণ্য উটপাদন করে বা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ঐ দেশের জি আই হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় (কৃষি তথ্য সার্ভিস)।

জি আই পণ্য খিরসাপাতি আমের বিবরণ:

কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশের তথ্যমতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম উৎকৃষ্ট জাতসমূহের মধ্যে একটি মধ্যম  মৌসুমি এবং খুবই জনপ্রিয় বাণিজ্যিক জাত। ফল  মাঝারি আকারের এবং অনেকটা ডিম্বাকৃতির। এ ফল গড়ে লম্বায় ৮.৬ সেমি., পাশে  ৭.৫ সেমি., উচ্চতায় ৬.০ সেমি. এবং  গড়ে ওজন ২৬৩.৯ গ্রাম হয়। পাকা ফলের ত্বকের রঙ সামান্য  হলদে এবং শাঁসের রঙ হলুদাভশাঁস আঁশবিহীন, রসাল, গন্ধ আকর্ষণীয় ও বেশ মিষ্টি। গড় মিষ্টতা ২৩%। জ্যৈষ্ঠ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ  থেকে আম পাকা শুরু করে। ফল পাড়ার  পর পাকতে  প্রায় ৫-৭ দিন সময় লাগে। ফলন  খুবই ভালো তবে অনিয়মিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আমের পাল্প দৃঢ় হওয়ায় পরিপক্ব আম বিভিন্ন ডিজাইন করে কেটে খাওয়া যায়। এ জাতের আমের আঁটিতে কোন আঁশ নেই এবং খেতে খুবই সুমিষ্ট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাটি কৃষি পরিবেশিক অঞ্চল ১১ এর উঁচু গঙ্গা নদী প্লাবন ভূমির অন্তর্ভুক্ত। তাই ভালোমানের খিরসাপাত আম উৎপাদনকারী এলাকার জন্য মাটির পিএইচ ৬.৫-৭.৫ প্রয়োজন, যা উক্ত এলাকায় রয়েছে। এছাড়াও এই অঞ্চলের আবহাওয়া আমের গুণগতমানকে প্রভাবিত করে।

আমের উৎপাদন, ভবিষ্যত ও ব্র্যান্ডিং:

আম উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মাথাপিছু বার্ষিক ভোগের পরিমাণ। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিগুণে আম অতুলনীয়। তাই আমকে বলা হয় ফলের রাজা। দেশের ফল থেকে আসা পুষ্টি চাহিদার একটা বড় অংশের যোগান দেয় আম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে গত ১৮ বছরে বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হারে আমের চাষ বেড়েছে।

আমের স্বাদ, মিষ্টতা নির্ভর করে সেই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার উপর। কিছুদিন পূর্বপর্যন্ত আমের রাজধানী ছিলো বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগন্জ। ‘কানসাট আমবাজার’ বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ আম বাজার হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অংশে আম উৎপাদন হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীর পাশাপাশি নওগাঁ জেলায় ব্যাপকভাবে আম চাষ ও উৎপাদন বেড়ে চলেছে, এবং অনেকে নওগাঁকে আমের নতুন রাজধানী হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোপালভোগ, খিরসাপাত সারাদেশে চাষ সম্ভব নয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আম চাষীদের পাশাপাশি আমাদের জেলার কিছু আম চাষীও স্থানীয় জাতের আম বাগান কেটে অধিক ফলনের আশায় হাইব্রীড আমের বাগান করছে। এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী নয় বরং ভয়ের। স্থানীয় জাত হারিয়ে গেলে আমরা আমাদের অঞ্চলের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবো, আমাদের নিজেদের দেশীয় ফল হারিয়ে ফেলবো। এমনকি বিদেশে আম রপ্তানির ক্ষেত্রেও আমরা পিছিয়ে আছি।

বাংলাদেশ কে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলছি। ধীরে হলেও এবং অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে ই-কমার্স সাইট এবং বিশেষ করে এফ কমার্স (ফেসবুক ভিত্তিক পেইজ ও গ্রুপ) গড়ে উঠেছে, উদ্যোক্তাবৃন্দ বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করছেন। বিগত কয়েক বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ- রাজশাহী অঞ্চলের অনেক তরুণ উদ্যোক্তা আমের মৌসুমে আম নিয়ে কাজ করছেন। খুব অবাক করা বিষয় হলো এই পেজগুলোতে খিসাপাত আমের পরিবর্তে হিমসাগর আমের প্রচারণা চালানো হচ্ছে, এবং প্রতিবছর এটা বাড়ছে। খিরসাপাতি আমের সঙ্গে হিমসাগর আমের বেশ কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণে এই আমকে অনেকেই খিরসাপাতি মনে করে ভুল করে থাকেন। আবার খিরসাপাতি আমকে হিমসাগর নামে বিক্রি করা হয়। খিরসাপাতি ও হিমসাগর আমকে আলাদা করা সহজ হবে রঙের পার্থক্য দেখে। পাকার পর খিরসাপাতি আমের ওপরের অংশ হলুদ রং ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে হিমসাগর আম পাকার পরেও সবুজাভ হালকা হলুদ রঙের হবে। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় হিমসাগর আমের চাষ খুব কম। এই জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া ও তালা উপজেলা এলাকায়।”(মাহবুব সিদ্দিকী, প্রথম আলো, ২০১৯)

আমরা জি আই পণ্য হিসেবে খিরসাপাতিকে পেয়েছি অন্য কোনো হাইব্রীড বা আমদানিকৃত জাত নয়। জি আই সনদ প্রাপ্তির পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম বিশেষ ব্র্যান্ডিং ও স্টিকার সহ বিক্রয়ের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। এবং অন্য নামে এই আম বিক্রয়ের কারণ হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে, প্রথমত, বাজারের চাহিদা, দ্বিতীয়ত, বিক্রেতাদের অত্যাধিক লাভের মানসিকতা, তৃতীয়ত আম ক্রেতাদের অজ্ঞতা। নিজেদের অজান্তেই তারা অন্য একটা জাতের আম কিনে খাচ্ছেন। কিন্তু যে আম এই অঞ্চলেই তেমন উৎপাদন হয়না সেই আমের নাম আমরা কেন ব্যবহার করবো এবং সেটা কেনো প্রমোট করবো? যেখানে আমাদের খিসাপাত এর মতো নিজস্ব স্থানীয় জাত রয়েছে! আপনারা যারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে, অনলাইনে অথবা সরাসরি বাজারে আম নিয়ে ব্যবসা করছেন তাদেরও এটা দায়িত্ব সঠিক নামে সঠিক আমটি ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া। ক্রেতা কে সচেতন করাও আপনার দায়িত্ব। শুধুমাত্র লাভের আশায় নিজেদের স্থানীয় সেরা জাতের আমটাকে আমরা হারিয়ে যেতে দিচ্ছি, এভাবে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই মুকুটও আমরা হারিয়ে ফেলছি বলেই মনে হচ্ছে। খেয়াল করলে দেখবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে এক সময় রেশম চাষের জন্য বিখ্যাত ছিলো এটা অনেকে জানেই না এবং বিশ্বাসও করতে চায় না। একই অবস্থা আমাদের কাঁসা পিতলের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। অন্যথায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী অঞ্চলের আমের যে খ্যাতি ও নিজস্বতা রয়েছে সেটি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের স্থানীয় আমগুলোর ব্র্যান্ডিং ও রপ্তানীর সুযোগ বৃদ্ধি করা

 

জিআই পণ্য খিরসাপাত রপ্তানি ও স্থানীয় জাত সম্প্রসারণ এবং সংরক্ষণের কি ব্যবস্থা নিচ্ছি? 

কথায় আছে "আম খাও পালে আর কাঁঠাল খাও ডালে"। অর্থাৎ আম ঘরে রেখে পাকিয়ে খাবার স্বাদ আর গাছপাকা আম খাবার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। আর গাছপাকা কাঁঠালের স্বাদ ঘরে পাকানো কাঁঠালের চেয়ে স্বাদ বেশি। তাই আম কিনে ৫৫ ডিগ্রি সে; তাপমাত্রায় ডুবিয়ে রেখে ঘরে রাখলে আম সহজে নষ্ট হবে না। উল্লেখ্য বেশ কবছর ধরে আমে ক্ষতিকর কার্বাইড ব্যবহার এবং ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগে বিপুল পরিমাণ আম নষ্ট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে ফরমালিন  কিছু ফল (আপেল, কলা), সবজি, সি ফুড, মাংসে থাকে। নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। তাই ফলে ফরমালিন, কেমিক্যাল রয়েছে এই ভয়ে ফল খাওয়া থেকে বিরত না থেকে, যে কোন ধরনের ফল ভালো ভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিৎ। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে বিরুপ আবহাওয়ার মুখোমুখি আমরা হয়েছে সেটি মাথায় রেখে আমাদের যারা বিজ্ঞানী রয়েছেন তাদের পরামর্শ ও মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আম পরিবহণ। ব্যক্তি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে যারা স্বল্প পরিমাণে আম পরিবার বন্ধু বান্ধবের কাছে এবং ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে থাকেন তারা পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকেন কুরিয়ার সার্ভিসের উপর। আমের মৌসুমে আম প্যাকেজিং, এবং কুরিয়ারে পরিবহণে উচ্চমূল্যের কারণে ব্যক্তি উদ্যোক্তা, ভোক্তাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কুরিয়ার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে সময়মত আম ডেলিভারি না পাওয়া, নষ্ট আম পাওয়া এমনকি ওজনে আম কম পাওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ লক্ষ্য করা গিয়েছে। আম পরিবহণের জন্য ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেন চালু অবশ্যই ইতিবাচক উদ্যোগ। আশাকরি আম পরিবহণ আরো সহজ ও দ্রুততর করার ক্ষেত্রে প্রশাসন, উদ্যোক্তা, কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দ এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

সর্বোপরি সরকারের পলিসি ও দূরদৃষ্টি অবশ্যই প্রয়োজনীয়। সরকার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং ক্ষেত্র বিশেষে দীর্ঘকালীন সুফলের কথা ভেবে বিনিয়োগ হিসেবে নিজস্ব আওতায় স্থানীয় জাতের বাগানগুলোকে নিজ দায়িত্বে লিজ নিয়ে সংরক্ষণ করলে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে। এখন থেকেই সরকারের উচিত আমাদের দেশের স্থানীয় জাতগুলোর জার্মপ্লাজম তৈরী করা। কারণ বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসব উন্নত জাতের আম চাষা বাদ করা হয়, সেগুলোর রুটিন মাফিক পরিচর্যা করা হলেও প্রাকৃতিক আমের কোনো পরিচর্যা হয়না। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক আম গাছ গুলো আমের আঁটি থেকে সৃষ্টি হয়। বিনা পরিচর্যায় বেড়ে উঠে, বিনা পরিচর্যায় মুকুল ধরে, বিনা পরিচর্যায় গাছে আম ধরে এবং পাকে। এসব প্রাকৃতিক আমগাছ গুলোতে যদি রুটিন পরিচর্যার অধীনে আনা যেতো, তবে বাংলাদেশে আমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়ে যেতো।

 

সকলের প্রতি অনুরোধ আপনারা আমাদের খিরসাপাত আমকে খিরসাপাত নামেই প্রচার ও বিক্রয় করুন। আমাদের স্থানীয় জাত গুলো সংরক্ষণ, চাষ বৃদ্ধি করা এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সকলের এক যোগে কাজ করা প্রয়োজন। অন্যথায় আমের রাজধানী বলে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুনাম ও অর্জন হুমকির মুখে পড়বে।

 

লেখকবৃন্দ:

জয়দেব সাহা
মোঃ হাবিবুল আলম মিশুক


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: