মোসাব্বির সাঈদী |
ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করছেন মোসাব্বির সাঈদী। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের আরও একটা পরিচয় দাঁড় করিয়েছেন সাঈদী। চলুন গল্পে গল্পে জেনে নেয়া যাক কীভাবে আসলেন এই ব্যবসায়।
ব্যবসার শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না সাঈদীর জন্য। বিশেষ করে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা গুছিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হলেও ইচ্ছাশক্তির জোরে পরে সব সামলে নেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে সারাদেশ যখন স্থবির তখনই শুরু হয় তার উদ্যোক্তা জীবন। সেন্টু মার্কেটে দিয়ে ফেলেন ফয়শাল গার্মেন্টস (২)। তার উদ্যোগ মেটাচ্ছে অধুনা নারীদের বিভিন্ন চাহিদা- বোরকা, হিজাব, ওয়ান পিস,টপস।
নিজের ইচ্ছাশক্তি, শ্রম আর ধৈর্য দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে যেতে। ব্যবসায়ী জীবনে চলার এই পথে দোকানে নানান মজার মজার সব ঘটনার সাক্ষী যেমন হোন, তেমনি খারাপ অভিজ্ঞতাও কম না। তিনি মনে করেন ব্যবসায়ীদের সাথে সাথে ক্রেতাকেও কেনার ব্যাপারে কিছু কিছু আচরণ গড়ে তোলা উচিৎ। যেমন- পছন্দ না হলে দরদাম করা উচিৎ না বা দরদাম করার পরেও ক্রেতাকে তার কাঙ্ক্ষিত দামে প্রোডাক্ট দিতে রাজি হলেও শেষে তা না নেয়াটা ক্রেতার সঠিক আচরণ না বলেই মনে করেন সাঈদী।
নিজের উদ্যোক্তা জীবনে মানুষের ভালোবাসা এবং আস্থা অর্জনকেই নিজের প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন। তার উদ্যোক্তা জীবনের সবথেকে চ্যালেঞ্জিং অংশ মনে করেন প্রতিযোগী ব্যবসায়ীদের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখা। তবে নতুন যারা এই গার্মেন্টস বিজনেসে আসবে তাদের জন্য সাঈদীর পরামর্শ হচ্ছে এই লাইনে আসার আগে ন্যুনতম সার্ভে করে আসা উচিৎ। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।
আর তার এই উদ্যোক্তা জীবনের চলার পথে ক্যাব সহযাত্রী হিসেবে কাজ করেছে। ক্যাবের অনেক সদস্যই তার দোকানের নিয়মিত ক্রেতা যা তিনি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেছেন। তিনি আশা করেন ক্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যোক্তাদের এভাবেই আলোর পথ দেখিয়ে যাবে আগামীদিনগুলোতেও।
0 coment rios: