সৃজনশীল মানুষের নানা রকমের সৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত মুখর হয়ে থাকে আমাদের এই বসুন্ধরা। আছে নাচের শিল্পী, গানের শিল্পী, অভিনয় শিল্পী। কিন্তু আজ জেনে নিবো রন্ধন শিল্পী নাজনীন শিল্পীর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে নাজনীন শিল্পীর উদ্যোগ সব খাবার দাবার নিয়ে। বিশেষত বিভিন্ন ধরনের আচার, ডেজার্ট ও ফ্রোজেন আইটেমই এখন উদ্যোগের প্রধান উপকরণ। সবার মাঝে যে হোম মেড খাবারের একটা চাহিদা রয়েছে তিনি মূলত এই চাহিদাকে পুঁজি করেই এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
নানা রকম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সততা নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এত কিছুর পরেও যখন তার শিল্পের প্রশংসা করেন কোন কাস্টমার তখন যে তৃপ্তি অর্জিত হয় তার তুলনা হয় না। কাস্টমারের সন্তুষ্টিই তার প্রধান অর্জন বলে মানেন।
শিল্পী কিন্তু নামের মতো কাজেও শিল্পকে ভালোবাসেন। নিত্য নতুন সৃষ্টিতে আনন্দ খুঁজে পান। মূলত কাছের মানুষের অনুপ্রেরণায় এই উদ্যোগ শুরু করলেও এখন তিনি হয়ে উঠেছেন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার নাম। যারা তার মতো এমন ধরনের উদ্যোগ নিতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে খুব বেশি পরামর্শ দিতে চান নি তিনি। বরং যারা এমন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে তার সাহস দেখে মুদ্ধতা প্রকাশ করেন। শুধু এই সাহসের সাথে যেন সততাটুকু মিশে থাকে এটুকুই শিল্পীর চাওয়া। নিজের অনেক অপূর্ণতা সত্ত্বেও প্রসঙ্গক্রমে শিল্পী বলেন,"তবুও তরুনদের মাঝে যেন আমি প্রাণ ফিরে পাই!"
লিখেছেন- রেজওয়ানুল কাদের
0 coment rios: